Headlines
Loading...
শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য হলে করণীয় | শিশুর কষা পায়খানার চিকিৎসা

শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য হলে করণীয় | শিশুর কষা পায়খানার চিকিৎসা

আজকে আমরা জানতে চলেছি শিশুর একটা খুব কমন সমস্যা নিয়ে তা হল কোষ্ঠকাঠিন্য বা কনস্টিপেশন। আমরা কখন বলব যেটা কনস্টিপেশন হয়েছে? একটা শিশুর মল বা পায়খানা (Stool) পাশ করা বা পায়খানার বিভিন্ন সময় থাকে যে একটা শিশুর স্বাভাবিক ভাবে দিনে 2 বার পায়খানা করতে পারে। আবার অনেক সময় আছে শুধু তিন চার দিন পর পর (Stool) পাস করতে পারে।  তুই তো একটা শিশু যদি শক্ত মলত্যাগ করে থাকে এবং সেটা যদি পেইনফুল বা ব্যথা পেয়ে থাকে তাহলে আমরা সেটাকে কোষ্ঠকাঠিন্য বা কনস্টিপেশন বলে থাকি। কি কি কারণ থাকতে পারে? আমরা খুব স্বাভাবিকভাবে বা সাধারণভাবে যেটা পেয়ে থাকে সেটা হচ্ছে খাদ্যভ্যাস জনিত ব্যাপার খাদ্য অভ্যাস। একটা শিশুর জন্মের পরে যে 6 মাস পর্যন্ত বুকের দুধ খায় তার পরে যে তাকে কম্প্লেমেন্টারি ফিদিং স্টার্ট করা হয় এই থেকে জ্যেষ্ঠ  থেকে তার খাদ্যের একটা অভ্যাস তৈরি হয়। যদি সুষম খাদ্য  না খেয়ে থাকে তাহলেও কিন্তু তার এ সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। আরেকটা কারণ হচ্ছে টয়লেট ট্রেনিং। প্রপার টয়লেট ট্রেনিং যদি না থাকে তাহলে কিন্তু এটা হতে পারে। অনেক শিশুরাই কিন্তু টয়লেট ব্যবস্থা চায় না। তাদের এই অভ্যাসটা তৈরি হয় না। ফলে দেখা যায় তাদের মধ্যে অনেকের এই সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে।এটা কনস্টিপেশনের প্রধান কারণ।

শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য হলে করণীয়  শিশুর কষা পায়খানার চিকিৎসা

জন্মের পর থেকে দুধ খায় তারপরে অন্য কিছু কিন্তু পানি  যদি কম খেয়ে থাকে তাহলে কিন্তু এ সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। এ ছাড়া কিছু সিরিয়াস কন্ডিশন বা ডিজিস কন্ডিশন জন্য অনেক সময়ে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। এসব ক্ষেত্রে অনেক সময় হতে পারে যে বমি থাকে, পাতলা পায়খানা থাকে তার পরে কনস্টিপেশন ডেভেলপ করে এসব সিরিয়াস কন্ডিশন কিন্তু আরও অনেক ধরনের উপসর্গ থাকে যেটা কিন্তু মা-বাবা দেখলে বুঝতে পারবে।  এই সময় কিন্তু বাচ্চা অনেক ঘন ঘন বমি, পেট ফুলে যাচ্ছে এসব ক্ষেত্রে এই ব্যপারগুলো কিন্তু আলাদা। এগুলো থাকলে কোষ্ঠকাঠিন্য যদি বা কনস্টিপেশন হয় সে ক্ষেত্রে কিন্তু খুবই দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত। এছাড়া কনস্টিপেশন আরেকটা কারণ হচ্ছে আমাদের একটা শরীরের হরমোন আছে আমরা বলি থাইরয়েড হরমোন এটার যদি ঘাটতি থাকে সে ক্ষেত্রেও কিন্তু বাচ্চা কনস্টিপেশন হয়। থাইরয়েড হরমোনের অভাবে যে কনস্টিপেশন হয় সেটার সাথে কিন্তু আরও অনেক ধরনের উপসর্গ থাকে। বাচ্চার ডেভলপমেন্ট সমস্যা থাকে, বাচ্চার স্কিনের প্রবলেম থাকে, লেখা পড়া সমস্যা থাকে সুতরাং এগুলো কিন্তু কনস্টিপেশন অন্যান্য উপসর্গ জড়িত।

আমরা যে স্বাভাবিকভাবে কনস্টিপেশন পেয়ে থাকে যেটা খাদ্যাভ্যাসের কারণে প্রপার ট্রেনিং এর অভাবে, পানি কম খাওয়ার জন্য এগুলো হয়ে থাকে। এইসব ব্যাপারে আমরা কি কি করতে পারি? ডিজিস অনুযায়ী চিকিৎসা করা হয় তাহলে কিন্তু এ কনস্টিপেশন ভাল হয়ে যায়। কিন্তু এই যে ফাংশনাল কনস্টিপেশন যেটা থাকে সেটা নিরাময়ের জন্য আমাদের মা-বাবাকে কিছু কাজ করতে হবে। 

প্রথম কথা হচ্ছে, শিশুকে সুষম খাবার দিতে অভ্যস্ত করতে হবে। এছাড়াও তাদের ব্যালেন্স ডায়েট করতে হবে।  ব্যালেন্স ডায়েট এর মধ্যে আঁশ জাতীয় খাবার বা ফাইবার জাতীয় খাবার  খাওয়াতে হবে। আঁশ জাতীয় খাবার বা ফাইবার জাতীয় খাবার খাওয়ালে বাচ্চার পায়খানা রেগুলার বাসিস হয়ে থাকে। অনেক সময় ইসুবগুলের ভুসি এই ধরনের খাবার দেয়া হয়ে থাকে। এগুলো কিন্তু বাচ্চার নিয়মিত মলত্যাগ করতে হেল্প করে। আমাদের খাবারের তালিকা টা যদি ঠিক থাকে বা আমাদের খাদ্যের উপাদান যদি ঠিক থাকে সেটাও কিন্তু বাচ্চার স্টুল পাস বা মলত্যাগ করতে হেল্প করে। পরিমাণ মতো পানি খাওয়াতে হবে। পরিমাণমতো পানি কিন্তু আর একটা প্রয়োজনীয় উপাদান বলা যায়। আমাদের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে যে সমস্যাটা আমরা ফেস করে থাকে সেটা হচ্ছে, প্রপার টয়লেট ট্রেনিং।  শিশু যখন বুঝতে শিখবে সুন্দর করে বসতে পারবে তখন থেকে শিশুকে কিন্তু  প্রতিদিন সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠার পরে অন্তত দশমিনিট সেই প্যানে তাকে বসানোর অভ্যাস তৈরি করতে হবে। শিশুর  স্টুল পাস করুক বা না করুক প্রতিদিন ঘুম থেকে ওঠার পরে শিশুকে এই অভ্যাসটা তৈরি করতে হবে। তাহলে ট্রেনিং এর অভাবে আমরা কিন্তু মেজরিটি' যে কনস্টিপেশন বা কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে  তা কিন্তু আমরা ফেস করে থাকি।

মা বাবার প্রতি উপদেশ আপনার শিশুর খাবারের তালিকা নির্ধারণ করুন। খাবার থেকে বিভিন্ন ধরনের ফাস্টফুড বন্ধ করুন। ফাস্টফুড জাতীয় খাবার কিন্তু কোষ্ঠকাঠিন্যের আরেকটা কারণ।সুতরাং চেষ্টা করুন খাবারের মধ্যে ফাইবারের উপাদান যোগ করতে। প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়ান তাহলে আমরা আশা করবো যে এই যে ফাংশনাল কনস্টিপেশন এটা অবশ্যই দূর হবে। এছাড়া অনেক সময় এখানে বিভিন্ন ধরনের বাজারে  ভালো কিছু সিরাপ পাওয়া যায় যেগুলো কিন্তু পায়খানা নরম করে। অর্থাৎ ডাক্তার যে ধরনের সিরাম গুলি খাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকে সে সকল সিরাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করাবেন। কিন্তু রেগুলার ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া দীর্ঘদিন ব্যবহার করাটা ঠিক নয়। তার চেয়ে বরং খাদ্য উপাদানের ফাইবার যুক্ত খাবার খাইয়ে, পানির পরিমাণ বেশি খাইয়ে, এবং  টয়লেট বাথরুম  বাচ্চাদের ট্রেনিং করিয়ে সমস্যা থেকে আমরা খুব সহজেই রেহাই পেতে পারি। সর্বশেষে বলব অবশ্যই এ বিষয়ে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন কিছু করবেন না।

0 Comments: