বাংলাদেশের তেলের দাম লাগাম হীন বৃদ্ধি পেয়েছে।

আজ ৬ আগস্ট ২০২২। আজ থেকে বাংলাদেশে তেলের দাম অত্যাধিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে প্রতি লিটারে ৪০ টাকা করে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ৫ আগস্ট রাতে এ বিভিন্ন তেলের পাম গুলিতে অত্যাধিক হারে ভিড় বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক জনগণ আবার তেলের পাশে গিয়ে তেল পাচ্ছে না লাইন ধরেও। জনগণ বলছে অত্যাধিক হারে তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তেল না পেয়ে আশুলিয়ায় মহাসড়ক অবরোধকরেছে সাধারণ জনগণ। অনেকেই মন্তব্য করেছেন, দেশের বাজারে সব পন্যের দাম বেশি। এই মুহূর্তে জালানী পন্যের পন্যের দাম বাড়ানো একেবারেই অমানবিক। নিম্ম মানুষের এখন বেঁচে থাকাটাই হবে অভিশাপ। দেশের গরীব মানুষ এখন হারিকেনও জালাতে ভয় পাবে কারন কেরোসিনের উচ্চমূল্য।উন্নরাত শেষে প্রতি লিটার ডিজেল ৮০ টাকা থেকে ৩৪ টাকা বেড়ে ১১৪ টাকা, কেরোসিন ৩৪ টাকা বেড়ে ১১৪ টাকা,অকটেন ৪৬টাকা বেড়ে ১৩৫ টাকা এবং পেট্রল ৪৬ টাকা বাড়িয়ে ১৩০ টাকা করা হয়েছে।

তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমান রেট

এরপরেও বিভিন্ন তেলের পাম গুলিতে দেখা গিয়েছে তেল নেওয়ার জন্য সর্বসাধারণ লাইন ধরে আছে। এ প্রসঙ্গে অনেকে বলছেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছ সেদিন একটা ব্রিফিং এ বললেন যে, আমাদের নাকি পেট্রোল আর অকটেন কিনতে হয় না, এইটা নাকি গ্যাস উত্তোলনের সময় বাইপ্রোডাক্ট হিসেবে পাওয়া যায়, শুধু ডিজেল কিনতে হয়। তাহলে এখন দাম বাড়লো কেন? এ প্রসঙ্গে দিলওয়ার নামক এক যুবক ফেসবুক কমেন্টে বলেছেন, তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পর থেকে বাংলাদেশে সবাই নিরব। কোন প্রতিবাদ নেই। কেন বৃদ্ধি করা হলো তার জবাবদিহিতা নেই। যে যার মতো তেল নেয়ার জন্য পাম্পে ভীড় করছে। সবাই নিজেকে নিয়ে নিজে ব্যস্ত। আমি বাঁচলেই হলো এমন মনমানসিকতা সবার মধ্যে। যতোদিন আমরা মুখ তুলে কথা না বলবো ততোদিন এভাবে আমাদেরকে নতজানু করে রাখা হবে। চাপিয়ে দেয়া হবে ইচ্ছে মতো বোঝা। আর আমরা সেগুলো মুখে কুলুপ এঁটে সয়ে যাবো চিরদিন।

অনেকেই বলছেন বাইকার রাখবো না ভাই ভাই বিক্রি করে দিয়ে একটা সাইকেল কিনে ফেলব। তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়াতে বাস এবং অন্যান্য তেল চালিত যানবাহন গুলির মূল্য অত্যাধিকারে বৃদ্ধি পেয়েছে পূর্বের চেয়ে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে সর্বসাধারণের কাছ থেকে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জনবান্ধব আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় আমজনতার স্বস্তি ও স্বাচ্ছন্দ্য বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়। যত দিন সম্ভব ছিল, তত দিন সরকার জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর চিন্তা করেনি। অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকটা নিরুপায় হয়েই দাম কিছুটা সমন্বয়ে যেতে হচ্ছে। ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে সরকার জ্বালানি তেলের দাম কমিয়ে দিয়েছিল। তিনি বলেন,পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সে অনুযায়ী জ্বালানি তেলের দাম পুনর্বিবেচনা করা হবে। সর্বসাধারণ বলেন, বাংলাদেশের তেলের দাম একবার বৃদ্ধি পায় তা আর কখনো নামতে চায় না আর ভাড়া যেটি নির্ধারণ হয়ে থাকে সে টাকা আদায় করা হয়। এতে জনগণের লাভ ক্ষতির কথা বিবেচনা করা হয় না। তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় করণীয় কি? অনেকেই বলেছেন তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বাইসাইকেল এবং ইলেকট্রিক চালিত গাড়ি ব্যবহার করবে তারা। তবে এটি বলাই বাহুল্য।


Previous Post Next Post