রেস্টুরেন্ট স্টাইল ফ্রেঞ্চ ফ্রাইস এর সিক্রেট রেসিপি বানানোর টিপস

আজকের রেসিপি হচ্ছে ফ্রেঞ্চ ফ্রাইস। যদিও ফ্রেঞ্চ ফ্রাইস খুব একটা কমন রেসিপি কিন্তু তারপরও পারফেক্ট ফ্রেঞ্চ ফ্রাইস বানানো অনেকটাই কঠিন।  তবে কয়েকটি বিষয় খুব ভালোভাবে জানা জানা থাকলে ফ্রেঞ্চ ফ্রাইস বানানো খুব সহজ।  সেগুলো ফলো করলে বাসায় বসে কিন্তু রেস্টুরেন্টের মত একদম পারফেক্ট  ফ্রেন্ডস প্রাইসবানানো সম্ভব। পারফেক্ট ফ্রেন্ড প্রাইস এর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে পারফেক্ট  আলু বাছাই করা। ভালো আলু বাছাই করার জন্য আপনাকে যা ফলো করতে হবে তা হল: ভালো আলুগুলো তে আলু স্টার কম থাকে  আড়ালেতে স্টার কম থাকলে আলোগুলি ভাসতে খুব সহজ হয়।

রেস্টুরেন্ট স্টাইল ফ্রেঞ্চ ফ্রাইস এর সিক্রেট রেসিপি বানানোর টিপস

আলু গুলো খুব সহজে ব্রাউন কালার হয়ে যায় না। ফলে সুন্দরভাবে ফ্রেন্স ফ্রাই বানানো যায়। আপনারা দেখবেন যে আলুর গায়ের চামড়াগুলো এরকম খুলে খুলে আসছে এসব আলু গুলোতে স্টার কম থাকে এসব আলু বাছাই করা আমাদের প্রয়োজন।  বেশ বড় সাইজের আলু গুলো বাছাই করতে হবে।    কারণ আলু গুলি বল হলে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বানাতে সহজ হবে এবং দেখতে খেতে অনেকটাই মজাদার হবে। প্রথমে আলু গুলোকে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। তার আগে অবশ্যই ফ্রেন্ড ফাইজের মত করে আলু গুলোকে কুঁচিয়ে নিতে হবে।   আমি হাফ ইঞ্চি পুরু করে অর্থাৎ আঙ্গুল পরিমাণ করে কেটে নিচ্ছে বেশি মোটা হয়ে  না যায় সেদিকে আমাদেরকে লক্ষ্য রাখতে হবে।  

আলোগুলো কাটার পর ঠান্ডা পানিতে ভালোভাবে ধুয়ে নিবেন।  আর সবগুলো  টুকরো টুকরো করার পর সে গুলোকে একটু চেষ্টা করবেন একবার খুব ভালভাবে ধুয়ে নিতে।  এরপরে আবার ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে।  এভাবে প্রায় দশমিনিট  আলু গুলোকে ভিজিয়ে রাখব।  আর এতে করে  যদি আলোর এক্সেস তাড়াশ থেকে থাকে সেটাও বের হয়ে যাবে। এরই মধ্যে একটা হাঁড়িতে পানি গরম হতে বসিয়ে দিবেন। এখন এরমধ্যে আমি প্রায় 1 টেবিল চামচ পরিমাণ লবণ দিয়ে দিবেন। তিনটা বড় বড় আলুর জন্য 1 টেবিল-চামচ লবণ নিতে পারেন। চুলায় বসানো পানিগুলো এখন ফুটতে শুরু করবে।

আলু গুলোকে এখন আরেকবার ভালোভাবে ধুয়ে নিয়ে নিতে হবে। ফুটন্ত পানিতে দিয়ে দিচ্ছি।আলু গুলোকে ঠিক 3 মিনিটে এই ফুটন্ত পানিতে সিদ্ধ করে নেব। এরপরের আলু গুলো এখান থেকে তুলে ফেলবো। অনেকেই মনে করেন পারফেক্ট ফ্রেঞ্চ ফ্রাই মানে হচ্ছে ফ্রেন্ডস প্রাইস গুলোতে সাদা হতে হবে। কিংবা অনেকেই মনে করেন, যেগুলোকে ব্রাউন হতে হবে। অনেক  মনে করেন বেশি কুরকুরে হতে হবে। কিন্তু আমার মধ্যে পারফেক্ট ফ্রেঞ্চ ফ্রাইস বাইরের দিকটা ক্রিস্পি হবে এবং ভেতরে কিছুটা স্টপ থাকবে।   রেস্টুরেন্টগুলোর ভালো ফ্রেন্ডগুলো এরকমই হয়ে থাকে। যাই হোক আলোগুলো তিন মিনিট সিদ্ধ করে দেয়ার পর এখন এগুলোকে এখান থেকে তুলে নিতে হবে। আলু গুলোকে তুলে নিয়ে একটা ট্রে তে কিসের উপর নিয়ে রাখতে হবে।

আমি একটু বেশি করে কিছুটা পিছিয়ে রেখেছিল। এর উপর ওগুলো নিয়ে নিলাম। এরপর এরকম আরও কিছু কিচেন টাওয়েল দিয়ে আমি উপর থেকে আলু গুলোকে একটু হালকা হাতে চেপে দিচ্ছি। যাতে করে আলোর এক্সেস পানি টেনে যায়। তবে  আপনারা চাইলে যেকোন পরিষ্কার কিচেন টাওয়েল ইউজ করে করতে পারবেন। আলু গুলো যাতে কোনো পানি না থাকে এখন ফ্রেঞ্চ ফ্রাইস ভাজার জন্য চলে যাই। একটা কড়াই মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণ তেল নিয়ে নিতে হবে। আর ফ্রেঞ্চ ফ্রাইস এর জন্য আলু কিন্তু সব সময় ব্যয় করতে হয়। আর এ জন্য তেলের পরিমাণ টা কিন্তু খুব বেশি করে নিতে হবে। তেল গরম হয়ে যাওয়ার পর এখন এরমধ্যে আমি আলু গুলো দিয়ে দিচ্ছি।

তবে সবটুকু একসাথে দিচ্ছি না আলু গুলোকে অর্ধেক অর্ধেক করে দুবারে ভাজার সময় চেষ্টা করবে। একসাথে খুব বেশি পরিমাণ আলু একবারে না ভাজার জন্য অল্প অল্প করে আলু গুলোকে ভেজা নিতে হবে। আলু গুলো খুব ভালোভাবে ভাজা ভাজতে হবে। কারন ফ্রেঞ্চ ফ্রাইস ক্রিস্পি করার জন্য আপনাকে অবশ্যই ভালোভাবে ভাজা দরকার।  তিন মিনিট ভেজে নিন এরপর এখান থেকে আলু গুলোকে তুলে নেব। আর এই আলুগুলো  ভাজাএখন প্রয়োজন  শেষ হয়ে গেছে। আপনারা চাইলে আলু গুলোকে যেকোনো জিপ্লক ব্যাগে অথবা যেকোনো এয়ারটাইট বক্সের ভরে ফ্রিজে রেখে দিতে পারবেন ছয় মাসের জন্য। আর যখন দরকার হবে তখন ফ্রিজ থেকে বের করে এগুলো কি আপনারা সরাসরি তেলে ভেজে নিতে পারবে।

এখন ফ্রিজ থেকে বের করে খুব ভালোভাবে গরম করে নিবেন। আর খুব ভালোভাবে গরম করে নিয়ে আলুগুলো তেলে ছাড়তে হবে কারণ এই আলু গুলো ক্রিস্পি বানানোর প্রয়োজন হয়েছে।  এরপর টেম্পারেচার টা অনেকটাই কমে যাবে। এখন খুব ভালোভাবে গরম করে নিয়ে আলু গুলোকে তেলে ছাড়তে হবে। আর এবারও কিন্তু  দুবারের ভেজে দিচ্ছি কারণ একবারে খুব বেশি পরিমাণ আরও একসাথে না ভালো আলুগুলো তেলে ছেড়ে দেয়া প্রায় 30 সেকেন্ডের মধ্যেই চুলার আঁচ কমিয়ে মিডিয়াম করে দিতে হবে। আর মিডিয়াম রেখেই আলু গুলোকে এখন  হালকা ব্রাউন করে ভেজে নিতে হবে। যাতে আলুগুলো সবথেকে বেশি ভালো হয়ে যাবে। আর এই পরে আপনার পছন্দনীয় খাবার তৈরি হয়ে গেছে। আপনারা চাইলে খুব সহজেই এভাবে রেসিপি বানাতে পারেন বাসায় বসে।

Previous Post Next Post