Headlines
Loading...
পেটে গ্যাস হলে করণীয় কি? পেটের গ্যাস দূর করার উপায়

পেটে গ্যাস হলে করণীয় কি? পেটের গ্যাস দূর করার উপায়

আজকে আমি আপনাদের সাথে যে ব্যাপারটি নিয়ে আলোচনা করব সেটা হল গ্যাস। বর্তমানে দেখা যায়, অনেক মানুষের এসিডিটির পরিমাণটা অনেক বৃদ্ধি পেয়ে গেছে। তাইতো বর্তমানে বিভিন্ন ঔষধের দোকানে প্রতিদিন গ্যাসের ঔষধ অধিক পরিমাণে বিক্রি হচ্ছে। এ সমস্যা হলে বুক জ্বালাপোড়া অথবা বিভিন্ন কারণে পেটের ব্যথা, বুকের ব্যথা অনুভব করে। সেগুলো সাধারনত গ্যাসের কারণে হয়ে থাকে। গ্যাস হলে আমাদের বেশ কিছু খাবারের পরিবর্তন নিয়ে আসতে হয়। খাবারের একটু অনিয়ম হলে গ্যাসের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক অংশে বেশি থাকে। আসুন জেনে নেই কিভাবে গ্যাস থেকে মুক্তি পেতে পারি? গ্যাস থেকে অনেকটা মুক্তি পেতে হলে অবশ্যই যে খাবারগুলো পরিবর্তন করতে হবে যেমন: খাবারগুলো যদি ফ্রিকোয়েন্টলি অল্প পরিমাণ খাওয়া যায় তাহলে কিছুটা গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারি।

পেটে গ্যাস হলে করণীয় কি পেটের গ্যাস দূর করার উপায়

বিশেষ করে সকালে নাস্তা করার ক্ষেত্রে ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার না খাওয়া। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় ভাজাপোড়া খাবার কারণে এ সমস্যা বেশি হয়ে থাকে। আমাদের শরিলে কিছু খাদ্য রস বের হয় খাবার  ডাইজেশন এর জন্য। সেই খাবারগুলো ডাইজেশন করতে পারে না যদি সেখানে কিছুই না থাকে। এতে প্রথম এসিডিটি হয়ে থাকে। পরবর্তীতে সে যে খাবার খায় না কেন সেই খাবারটা থেকে তার গ্যাস হওয়ার প্রবণতা বেশী থাকে এবং সেটা আমাদের প্রপারলি হজম হয়না। এর ফলে দেখা যায় ওজন বেড়ে বা কমে যেতে পারে। এছাড়া যাদের গ্যাসের প্রবলেম বেশি থাকে তারা যদি খাবারের থেকে ভাজাভূনা খাবারগুলো অথবা অতিরিক্ত মসলাদার খাবার গুলো অথবা ঝাল খাবার গুলো বাদ দিয়ে দেয় তাহলে অনেকটা গ্যাসের প্রবলেম থাকে রেহাই পেতে পারেন। কিছু কিছু খাবার থাকে যেগুলো গ্যাস তৈরি করে।এছাড়াও আপনি জানেন কি দূর সরাসরি খেলে গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে? হ্যাঁ জমানো দুধের তৈরি খাবার গুলো অথবা দুধ সরাসরি খেলে গ্যাস হতে পারে। দুধের তৈরি খাবার গুলো থেকে গ্যাস হওয়ার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি থাকে। এছাড়া যদি আপনার সাইট্রাস ফল খান অথবা টমেটো, সবজি, ফুলকপি, বাঁধাকপি এগুলো থেকে পর্যাপ্ত গ্যাস হতে পারে।

আপনি এই খাবারগুলো খাবার মেন্যু থেকে আপাতত বাদ দিয়ে দেন। আপনার এই প্রবলেমটা যখন কমে যাবে আস্তে আস্তে খাবার এগুলো পুনরায় খেতে পারবেন। দাওয়াত খাওয়া বা অতিরিক্ত খাবার খাও কিন্তু আমাদের গ্যাসের কারণ হতে পারে। গ্যাসের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ পানি। পর্যাপ্ত পরিমাণ অবশ্যই পানি খাবেন। এতে করে আপনার গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাবে। পর্যাপ্ত গ্যাসের প্রবলেম টা অনেকটা দূর হয়ে থাকে এই পানির কারণে। সকালবেলা চাইলে একটু ইসুবগুলের ভুষি খেতে পারেন। এটা আপনার গ্যাসকে অনেক কমাবে। গ্যাসের সমস্যার কারণে ইসুবগুলের ভুষি বেশি বেশি পরিমাণে খেতে যাবেন না। পরিমাণটা অল্প থাকবে আধা চামচ বা 1 চা চামচ পানিতে গুলিয়ে খেয়ে নেবেন। এতে আপনার টয়লেট ঠিক থাকবে। গ্যাসের প্রবলেম থাকবে কিন্তু যদি আপনি বেশি পরিমাণে খান তাহলে আপনার কষা হয়ে যাওয়ার প্রবণতা চলে আসতে পারে। যে খাবারগুলো বেকারিতে তৈরি হয়ে থাকে বিশেষ করে  ইস্ট দেওয়া খাবার গুলো আমাদের গ্যাসের পরিমাণটা বাড়িয়ে তুলে। যেমন বেড হতে পারে অথবা ইস্ট এর তৈরি অন্যান্য যে প্রোডাক্টগুলো হয়ে থাকে। এগুলো থেকে আমাদের গ্যাসের প্রবলেম গুলো হতে পারে। এছাড়া টক ফল গুলো একটু এড করা উচিত।

আমাদের দেশীয় খাবারগুলো বাছাই করতে পারেন যেমন ভাত, রুটি, চিড়া-মুড়ি সাগুদানা এগুলো আপনার খুবই ভালো হেল্পফুল থাকে। তাছাড়া ফলের মধ্যে কলা, পেঁপে ফল গুলো রাখতে পারেন। ইদানিং বিদেশে ড্রাগন ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে আমাদের দেশে।তাছাড়া  কফি অথবা চা যদি অতিরিক্ত লিকারে খান তাহলে এটি অবশ্যই বর্জন করতে হবে। এছাড়াও যদি দুধ বা চিনি একসাথে যে কোন কিছুর দিয়ে তৈরি করে খাবারটা খান মানে দুধ-চিনি পাশাপাশি অন্য কিছু খাবারের ফলে ড্রেসের প্রবণতা বেড়ে যায় তাই এটিকে বর্জন করুন। আপনার যদি অতিরিক্ত গ্যাস থাকে তাহলে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন। বাকি সময়টা আপনি আধা ইঞ্চি পরিমাণ আদা কুচি কুচি করে পানির সাথে মিক্সড করে অথবা যাদের কিডনি প্রবলেম আছে তারা একটু গরম করে সেই পানিটা খেয়ে নিলে আপনার গ্যাসের প্রবলেম অনেকাংশে কমে যাবে। ইনফ্যাক্ট আপনার গ্যাসের ঔষধ খেতে হচ্ছে না।