Headlines
Loading...
দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পড়া দূর করার উপায় জেনে নিন

দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পড়া দূর করার উপায় জেনে নিন

নর্মাল কিছু সমস্যা থাকে, যারা ডায়াবেটিক পেশেন্ট যদি সুগার লেভেল আর কন্ট্রোল না থাকে বা অনেক বেশি থাকে তাদের কিন্তু মাড়ির প্রদাহ হওয়া একদমই খুবই কমন একটি ব্যাপার। মাড়ির প্রদাহ হওয়াটা খুবই কমন একটি সমস্যা। আজকে আপনার সাথে কথা বলতে চাই কিভাবে দাঁত থেকে বা ব্রাশ করার সময় রক্ত পড়ছে এরকম সমস্যায়  যারা আছেন তাদের জন্য আজকে কিছু কথা বলব।  দাঁতের মাড়ি থেকে আসলে রক্তটা পড়ছে এই জিনিসটা আমরা কিন্তু অনেকে আইডেন্টিফাই করতে পারি না। আসলে দাঁত কিন্তু আমাদের একটি শক্ত টিস্যু। আমাদের মুখগহবরের কথা চিন্তা করে থাকি তাহলে মুখগহবর প্রতিটা জিনিস কিন্তু অনেক সফট থাকে। আমাদের ঠোট, গাল, মারি, এবং মুখের প্রায় সব কিছু জিনিস কিন্তু অনেক সফট থাকে। মাঝখানে শুধু শক্ত জিনিসটি হল দাঁত। দাঁত থেকে কি কারনে রক্ত পড়ে? যদি আপনার দাঁতের ক্যাভিটি তৈরি হয় এবং ব্লিডিং হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাহলে মাড়ি থেকে রক্ত পরে তখন আপনার মারি দুর্বল হয়ে যায়। যখন আপনার মারি দুর্বল হয়ে যায়, তখন নরমালে কিন্তু মারির রং দেখতে গোলাপি আকারে হয়ে থাকে এবং ফুলে যায়। এই মারি লাল হয়ে ফুলে উঠে তখনি কিন্তু রক্ত পড়ে। আবার অনেকরোগীরা বলেন যে, আমি ঘুম থেকে উঠে মুখের মধ্যে দেখি জামা রক্ত-জমাট পড়ে আছে এবং এটি হচ্ছে কিছুদিন পরপর হচ্ছে। আবার অনেকের দাঁত ব্রাশ করতে মুখ থেকে রক্ত বের হচ্ছে এমন ঘটনা কিন্তু ঘটে থাকে। অনেকে আবার বলে থাকে আর রাত্রে ব্রাশ করার সময় পেস্ট লাল হয়ে যাচ্ছে।

দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পড়া দূর করার উপায় জেনে নিন

উঠলে ঘুম থেকে উঠলে কেন মাড়ি থেকে রক্ত পড়বে?

আসুন এর কারণ জেনে নেই। আমাদের মুখে লাজ জমা হয়। এটি কিন্তু অনেক নরম হয়। একদমই সফট টাইপের একটি জিনিস। যেটা আমাদের দাঁতের শক্ত আবরণকে সেটির উপরে সব সময় এসে জমা হচ্ছে। এটি একটি নরমাল প্রসেস। যা আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে তৈরি করে দিয়েছেন। 24 ঘন্টার মধ্যে আমরা যে খাবার খাচ্ছিস এগুলো সহায়তায় কিছু মুখে যে এনজাইম থাকে সেগুলোর মাধ্যমে ফর্মেশন হয়ে একটি নরম একটি পদার্থ তৈরি হয়ে দাঁতের উপর লেগে থাকে। এই পদার্থটি লাগবে তখনই যখন আপনি কুলি টা কমিয়ে দেবেন। অনেকক্ষণ কিছু না খেয়ে থাকবেন তখনই দেখবেন আপনি একটু জিহ্বাটা দিয়ে দাঁতের চারপাশে ঘুরিয়ে দেখেন তাহলে দেখবেন একটা পদার্থ আপনাদের উপর লেগে থাকছে। এই পুরো জিনিসটা কিন্তু ব্যাকটেরিয়া। যদি মাইক্রোস্কোপে দেখে তাহলে থাউজেন অফ ব্যাকটেরিয়া দেখব এর মধ্যে লুকিয়ে আছে। এই ব্যাকটেরিয়াগুলো দাঁতের মাঝ বরাবর খুব সহজেই আটকে যায়। এ ব্যাকটেরিয়াগুলো 24 ঘন্টার মধ্যে নরম থাকে তারপর আস্তে আস্তে এগুলো শক্ত হতে থাকে। এটা আমরা সাধারণত পাথর জমা হওয়া বলে থাকে। মেডিকেলে এটাকে দাঁতের ক্যালকুলাস হওয়া বলে। এ ব্যাকটেরিয়াগুলো দাঁতের সামনে-পেছনে মাঝখানেও জমা হয়ে থাকতে পারে। যেহেতু এই জিনিসটা আপনার মাড়িতে সম্পূর্ণভাবে শক্ত হয়ে আটকে থাকবে সেহেতু আপনার দাঁতের ভেতর প্রদাহ সৃষ্টি করবে। এর ফলে ইনফেকশন তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। এর ফলে ধীরে ধীরে মাড়ির রংটা লাল হতে থাকবে এবং ফুলে উঠবে। এই ফুলাটা সাধারণত বোঝা যায় না কি পরিমান ফুলে যায়।

দেখবেন যে, কেবলমাত্র আপনার কিন্তু মাড়ি থেকে রক্ত পড়ে আর সকালবেলা উঠে ব্রাশ করতে গিয়ে কেন রক্ত পড়ছে তার মূল কারণই হচ্ছে আমরা যদি রাতে ব্রাশ না করি। তাহলে পুরোটাই আমার দাঁতের মধ্যে লেগে থাকে যেটা পুরো রাত আপনি যখন 8 থেকে 10 ঘন্টা রাতে ঘুমাচ্ছেন এই মাঝখানে অনেক সুন্দর একটা সময় পায় যেটা আপনার যেটা আপনার মারিকে আনহেলদি করে তুলে। আপনি সকালবেলা উঠে প্রথমে দাঁত ব্রাশ করবেন এতে মাড়ি থেকে রক্ত পড়বে। একটু খেয়াল করে দেখবেন যদি রাতের বেলা ঘুমালে সকালে উঠে দেখবেন রক্ত পড়ছে। বর্তমানে এটি একটি কমন সমস্যা। আবার অনেকে যদি দুশ্চিন্তা করেন বা রাত জেগে থাকেন সেক্ষেত্রে সমস্যাটা অনেক বেশি বেড়ে যায়।এছাড়াও আপনি যদি অ্যালকোহল জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া হয় তাদের ক্ষেত্রে কিন্তু এই সমস্যাটা অনেকাংশে হবে এবং এটা আপনি বুঝতে পারবেন না যে। এছাড়াও আপনার যদি ডায়াবেটিস থেকে থাকে সে ক্ষেত্রে কিন্তু এ ধরনের সমস্যা হতে পারে। ডায়াবেটিস আছে কন্ট্রোল করতে পারছেন না বা এটা নিয়মিত নিয়ন্ত্রণ আনতে পারছে না তাদের জন্য প্রথম যে করণীয়তা সেটি হচ্ছে, অবশ্যই আপনাকে এটাকে একটা নিয়ন্ত্রণে মাত্রা হবে। এটা হতে পারে হাঁটাহাঁটি মাধ্যমে বা কোন ওষুধের মাধ্যমে আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করে রাখতে হবে। না হলে আপনার এই সমস্যাটা বেড়ে যেতে থাকবে আর যাদের বিভিন্ন রকম ধূমপান করা বা অ্যালকোহল জাতীয় খাবার বা পানীয় খাওয়া অভ্যাস আছে তাদের এই ব্যাপারগুলা থেকে নিজেকে সরিয়ে আনার চেষ্টা করতে হবে। প্রথম কথা হচ্ছে, আমাদের মনটাকে ভালো রাখতে হবে। তার জন্য বেশি কিছু না আমাদের তিনটি বিষয়ের ওপর ফলো করলে আমরা এই সমস্যা থাকে কিন্তু সুন্দরভাবে রক্ষা পেতে পারি। 

  • আমরা আমাদের মুখটাকে ভালো রাখতে পারি সেটা হচ্ছে আমাদের প্রতিদিন দাঁত ব্রাশ করা। প্রথম কথা হচ্ছে ব্রাশ আমাদের করতেই হবে। আমরা খুব বেশি শক্ত ব্রাশ ব্যবহার করব না।  আমরা একটু নরম ব্রাশ ব্যবহার করব। এই জিনিসটা খেয়াল করলে আমাদের মুখটা ভালো থাকবে। আমাদের দাঁতের উপরে কোন ধরনের ময়লা যাতে কারো লেগে থাকে সেটা আমাদের অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে এবং সেভাবে আমাদের দাঁত ব্রাশ প্রতিদিন করা দরকার। তবে ডাক্তারদের মতে যদি প্রতিদিন অন্তত দুবার করে ব্রাশ করে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনার দাঁত পরিষ্কার থাকবে। আমাদের একটা বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে কোন পদার্থ আটকে না থাকে। আমাদের নরম ব্রাশ দিয়ে এবং একটু ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ব্রাশটা করতে হবে। দাঁত ব্রাশ করার সময় আমাদের এটা অবশ্যই করণীয়, যাতে ব্যাকটেরিয়া পদার্থগুলো সুন্দরভাবে পরিষ্কার করতে পারি সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে।
  • আমাদের আজাদকে প্রতিনিয়ত ফ্লাশ করতে হবে তবে এটা এমন কোন কিছুই না। জাস্ট একটি সুতার মতন আমরা দুই হাতের মধ্যে নিব। এই সুতা ব্যবহার করে দাঁতের মাঝখানে যে সকল ফাঁকা অংশ আছে সেসকল স্থানগুলি সুন্দরভাবে পরিষ্কার করে নিব এটাকে আমরা দাতে খিল করা পদ্ধতি বলে থাকি। এছাড়াও আমরা ব্যবহার করতে পারি আয়োডিনযুক্ত অথবা ক্লোরোহেক্সিডিন মাউথওয়াশ। আপনার দাঁত থেকে যদি বেশি ব্লিডিং হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে আপনারা ক্লোরোহেক্সিডিন মাউথওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। তবে পনের  দিনের বেশি ব্যবহার করা যাবে না। আর এইগুলো কিন্তু অ্যান্টিবায়োটিক নির্মূল জাতীয় ঔষধ। এগুলো আপনি যদি রেগুলারলি ইরেগুলার ব্যবহার করেন যেটা হচ্ছে, মাঝে মাঝে ইচ্ছে করলো, মাঝে মাঝে করলাম না, একদিন দুদিন করলাম আবার করলাম না এভাবে করলে আপনার মুখে ভালো দাঁত যেগুলো আছে সেগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এজন্য আপনি একটু মেইনটেইন করে সকালে এবং রাতে দুটোর সময় আপনি করবেন। এরপরে আবার যদি প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে ব্যবহার করবেন ।
  • এরপর আপনি যা করতে পারেন তা হল: আমরা ন্যাচারাল উপায়ে কুসুম গরম পানিতে একটু লবণ দিয়ে গারগিল করা। এভাবে যদি দশ পনের মিনিট গারগিল করতে থাকেন তাহলে মুখের ভেতর থেকে জীবাণু গুলো খুব সহজেই ধ্বংস হয়ে যায় এবং আপনি সজীব আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবেন। আপনারা এই জিনিসটা যদি রেগুলার কেউ ফলো করে থাকেন তাহলে দেখবেন তাদের মারিজে সমস্যাটা সেটা অনেকাংশে কমে যাবে।
এছাড়াও বছরে দুবার অবশ্যই একজন ডক্টরের কাছে শরণাপন্ন হবেন। আপনার মুখের এনভারমেন্ট একবার চেক আপ করবেন কোন সমস্যা আছে কিনা সে ব্যাপারে আপনারা পর্যবেক্ষণ করবেন।