ডায়াবেটিক ফুট সম্পর্কে ধারণা নিন

ডায়াবেটিক ফুট কাদের হয়? কেন হয় এবং হলে আমরা কি করব?

ডায়াবেটিক ফুট হওয়ার ডায়াবেটিক পেশেন্টের একটি বিশেষ রোগ বলতে পারেন। যদি ডায়াবেটিক ফুট হয় তবে ডায়াবেটিস রোগীদের কিছু শরীরে কিছু পরিবর্তন হয়। এই ডায়াবেটিসের জন্য পরিবর্তনগুলোর মধ্যে এক নম্বর  নিউরোপ্যাথি।  ডায়াবেটিকস ফুড রোগীদের টার্মিনালগুলোতে কিছু পরিবর্তন আসে এই পরিবর্তনের ফলে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় শক্তি কমে যায়। তারা পূর্বে যেরকম শক্তিতে তো সে রকম শক্তি কমে যায়। এ সময় রোগী সাধারণত ও বুঝতে পারে না যে তার শক্তির অবস্থান কিরূপ। তাদের যে শক্তি কমে যাওয়ার ফলে যেটা হয়, পেশেন্টের পায়ে যদি কোনো আঘাত পায়, ছোটখাটো  ক্ষত দেখা দেয়, যেগুলো হয়তো আমরা স্বাভাবিকভাবেই ডায়াবেটিক রোগীরা টের পাই না। ডায়াবেটিক রোগীরা টের পায় না পাওয়ার কারণে দেখা যায় একটা ছোট একটা ক্ষত হলো ইনফেকশন হয়। কিন্তু ডায়াবেটিক রোগীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। ইনফেকশন টা খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং শক্তি কম থাকার কারণে এটি ইনফেকশন ছড়িয়ে যাচ্ছে।

ডায়াবেটিক ফুট সম্পর্কে ধারণা নিন

সাধারণত এ সময় রোগী কোন কিছুই টের পাচ্ছেন না, কোনো ব্যথা হচ্ছে না, কোনো রকম কোনো অস্বস্তি ফিল করছে না, কিন্তু হঠাৎ করে পাটা ফুলে গেছে লাল হয়ে গেছে অথবা কিছু একটা করছে তখন তখন পা ফুলে যায়। দেখা যায় এ সময় ওরা ডাক্তারের কাছে আসে। তখন দেখা যায় ইনফেকশন সমস্যা অনেকটাই বেশি হয়ে গেছে। ডায়াবেটিক পেশেন্ট যেটা হচ্ছে রক্তচলাচলটা আস্তে আস্তে করে কমে যায়। তাই আমাদের রক্ত কিছুটা কম থাকে এবং ডায়াবেটিক পেশেন্টের দীর্ঘদিন ডায়াবেটিস থাকার ফলে পায়ের রক্তনালীগুলো ছোট শুরু হয়ে যায়। তারা সাধারণত চিকন হয়ে যায়, পায়ে রক্ত চলাচল কম হয়, পায়ে রক্ত চলাচল কম হওয়ার কারণে যেটা হয় যে, আমাদের রক্তের মধ্যে দিয়ে যে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা থাকেনা। এইসময় রোগী যদি আঘাত পেয়ে থাকে দেখা যাবে ইনফেকশনটা কন্ট্রোল করার মতো এবিলিটি থাকেনা। এটা হচ্ছে মেইন কারণ। এছাড়াও আরো কিছু কারণ আছে। ডায়াবেটিক রোগীদের পায়ের সমস্যা হওয়ার জন্য আরেকটা কারণ হচ্ছে যে, এই নিউরোপ্যাথি যেটা হয় ও শক্তি কমে যায় আমাদের প্রতিটা গিরার ব্যথা অনুভব হয়।

আমাদের সাধারণত কীড়াগুলো কোন পজিশনে আছে, উল্টে আছে নাকি সমান আছে এগুলো আমরা সাধারণত বুঝতে পারি কিন্তু তারা এ ধরনের সমস্যা বস্তুর সম্মুখিন হয় না। এছাড়াও এ রোগের ফলে শক্তি কমে যাওয়ার ফলে যেটা হয় বা এর ব্যালেন্স টা নষ্ট হয়ে যায়। যেসব জায়গায় ডায়াবেটিক ফুট দেখা যাবে সেসব জায়গায় চাপ বেশি পড়ছে কিন্তু রোগী তা বুঝতে পারছে না।বেশি বেশি চাপ থাকার কারণে ক্ষত হতে পারে। ক্ষত হয়ে গিয়ে ওখানে ইনফেকশন হয়ে যেতে পারে। দেখা যায় যে রোগী এই সময় বিভিন্ন রকম চিকিৎসা নিয়ে থাকেন কিন্তু কোনো ভালো করতে পারছেন না। এক নম্বরে আমাদের যেটা করতে হবে পেশেন্টের পায়ের যত্ন নিতে হবে। যত্ন কিভাবে নেবে? প্রতিদিন অন্তত একবার করে সুন্দর করে সাবান  দিয়ে পা পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এরপর এটা একটা গামছা দিয়ে শুরু করে শুকিয়ে ফেলতে হবে। শুকানোর পর এটা চেক করতে প্রতিদিন রাতে অন্তত একবার করে চেক করতে হবে পায়ের কোথাও কোনো আঘাত পেয়েছে কিনা। বল অক্ষত আছে কিনা।

কোথাও কোনো রকম কালার চেঞ্জ অথবা রঙের পরিবর্তন আছে কিনা। কোথাও কোনো রকম এলার্জি অথবা ফোসকা পড়েছে কি না। এগুলো প্রতিদিন চেক করতে হবে এবং ডায়াবেটিক পেশেন্টের কখনো খালিপায়ে হাটতেদেওয়া ঠিক হবে না। তাছাড়া জুতার ফিতা বেশি লুজ করা যাবেনা। কোথাও কোনো সমস্যা দেখলে পায়ের মধ্যে নিজেরা কখনো কোনো রকম সার্জারি করতে চেষ্টা করবেন না। দেখা যায় রোগীরা নিজেরা নিজেরাই তাদের পায়ের নখ কেটে পরিষ্কার করার চেষ্টা করে। এক্ষেত্রে নিজেরাই তারা সার্জারি করে থাকে। এটা করা একদমই সঠিক নয়। নখ কাটতে গিয়ে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। তাছাড়া অনেকে যেটা করে থাকে তারা তাদের নখ খুব ছোট করে। নখ কাটেন মনে করেন যে ছোট করে নখ কাটলে মনে হয় খুব ভালো থাকবেন। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকবে কিন্তু ডায়াবেটিক পেশেন্টের এটা করা মোটেও ঠিক না। কারণ একটু সোজা করে কাটতে হবে একদম বেশি ছোট করা ঠিক হবে না।  কারণ যাদের নখের ভিতরে ময়লা ঢুকতে পারে তখন ওখানে ইনফেকশন হতে পারে।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হচ্ছে কোনো রকম তামাক জাতীয় পদার্থ ব্যবহার করবেন না। জর্দা, সাদাপাতা, সিগারেট খেলে তাদের অনেক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এমনকি তাদের রক্তনালিগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এরকম সমস্যা দেখা দিলে তাদের ডায়াবেটিক ফুট হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি থাকে। যদি সমস্যা হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন এবং সে অনুযায়ী চিকিৎসা করাবেন।

Previous Post Next Post