স্বাস্থ্যকর ত্বক পেতে যা যা করতে হবে

স্বাস্থ্যকর ত্বক পেতে চাইলে আমাদের কি ধরনের খাদ্যাভ্যাস ফলো করতে হবে তা জানা আমাদের অবশ্যই প্রয়োজন। আমাদের শরীরের সবথেকে বড় অর্গান বর্তমানে এটি নিয়ে অনেকেই সচেতন নয় এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। ত্বকের যত্ন নিতে বর্তমানে সবাই অনেক এক্সটার্নাল বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। তবে মনে রাখতে হবে সুস্থ ত্বক পেতে চাইলে আমাদের এক্সটার্নাল এবং ইন্টার্নাল উভয়ের উপর দক্ষতা থাকা প্রয়োজন। ইন্টার্নাল কেয়ার বলতে আমরা সাধারণত সঠিক পুষ্টির বিষয়টিকে বুঝে থাকে এবং এই সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত হতে পারে সঠিক খাদ্যাভ্যাস ফলো করার মাধ্যমে। সঠিক খাদ্যাভ্যাসে আমাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে গুরুত্ব দিতে হবে। আমরা আজকে এ বিষয়ে কথা বলব, একটি সঠিক খাদ্যাভ্যাস করার জন্য আমাদের দিকে কয়েক ধরনের খাবারের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। শুরুতেই ফাইবার জাতীয় খাবার কথা বলি।

স্বাস্থ্যকর ত্বক পেতে যা যা করতে হবে

আমার ত্বকের জন্য খুবই উপকারী ফাইবার। জাতীয় খাবার আমাদের হজমে খুবই ভালো পরিমাণে ভূমিকা রাখে ফাইবার। খাবার গ্রহণের ফলে আমাদের ডাইজেস্টিভ সিস্টেম উন্নত থাকে তেমনি আমাদের টক্সিন রিমুভাল জাতীয় খাবার শরীরটাকে সুস্থ রাখতে সহযোগিতা করেন।সুতরাং আপনার পরিপাকতন্ত্র যখন ফ্রি থাকবে তখন অটোমেটিক্যালি ভালো থাকবে। তাই খাবার তালিকায় আমাদের ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার আমরা পেতে পারি বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি এবং রঙিন ফলমূল থেকে। বিশেষ করে ডাটা যুক্ত সবুজ শাক। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের ফাইবারের আবরণ পেতে হলে বিভিন্ন ধরনের খোসাসহ ফল খাওয়া জরুরি। এগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার থাকে। এছাড়াও  গর্ভবতী বাচ্চাদের ব্রেইনের জন্য অনেকটাই সহযোগিতা করবে। বাদাম, ভাত, লাল চিড়া, লাল শাক, আটার রুটি এবং লাল চিড়া ও জাতীয় খাবারের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

আমাদের স্কিনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান হলো প্রোটিন।  এটি আমাদের শরীরে  কোলাজেন তৈরি করতে সহযোগিতা করেন। আমাদের স্কিনের তৈরিতে সবথেকে বড় ভূমিকা পালন করে থাকে কোলাজেন। এটি আমাদের স্কিনের তৈরিতে বিশেষ ভাবে সহযোগিতা করে থাকে। সুতরাং প্রোটিন বাদ দিয়ে আমাদের স্কিন ভালো রাখার উপায় নেই। এই জন্য আমাদেরকে অবশ্যই প্রোটিনের উপর নির্ভর যোগ্য হতে হবে। এছাড়াও প্রাণীজ প্রোটিন এর উপর নির্ভর করতে হবে। পাশাপাশি উদ্ভিজ্জ প্রোটিন এর দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। আমরা প্রাণীজ প্রোটিন এর জন্য গ্রহণ করব চর্বিহীন মুরগির মাংস, বিভিন্ন ধরনের মাছ, এছাড়া উদ্ভিজ্জ প্রোটিন এর ক্ষেত্রে আমরা বিভিন্ন ধরনের বীজ এবং বাদাম এগুলো গ্রহণ করতে পারি। এছাড়া আমরা টক দই এবংসরহিন দুধ গ্রহণ করতে পারি। অবশ্যই এই সবকিছু সবকিছুই আমাদের স্কিন ভালো রাখতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এরপর ভিটামিন সি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান স্কিনের ক্ষেত্রে। কেননা ভিটামিন সি আমাদের ব্রাইটেনিং বৃদ্ধি করতে সহযোগিতা করে এবং  এটি ত্বকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এরপরে আপনি খেতে পারেন ভিটামিন সি। ভিটামিন সি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান স্কিনের ক্ষেত্রে। কেননা ভিটামিন সি আমাদের ব্রাইটেনিং এবং ট্রেনিং এর ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন যদি আপনার আপনাদের খাদ্য তালিকায় ত্বক ফল যুক্ত খাবার সমৃদ্ধ করতে পারেন তাহলে কিন্তু আপনার ত্বকের জন্য খুবই ভালো হবে। আপনার স্কিন ভেতর থেকে ব্রাইটেন আসতে সহযোগিতা করবে। এছাড়া ত্বক ভালো রাখতে আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি গ্রহণ করতে হবে। পানির অভাবে আমাদের ত্বকের ময়েশ্চারাইজার হারিয়ে যায়। ঠিক তেমনি বিভিন্ন ধরনের টোকিও সমস্যা হয়। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি গ্রহণ করতে হবে। খাদ্য তালিকা থেকে কয়েক ধরনের খাবার আপনাদেরকে আনতে হবে। কারণ সঠিক খাবার গ্রহণের পাশাপাশি আপনি যদি ঠিক উল্টো পথে ত্রুটিপূর্ণ খাবার গ্রহণ করেন সেক্ষেত্রে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে আপনাদের ফাস্টফুড জাতীয় খাবার বর্জন করতে হবে। কারণ এতে অতিরিক্ত তেল মসলা দেওয়া থাকে। এগুলো আমাদের ত্বকের বিভিন্ন অ্যালার্জি সৃষ্টি করে।  এছাড়াও এ ধরনের খাবার গুলো একমি পিম্পল ব্রেকআউট এর সাহায্য করে।তাছাড়া আমাদেরকে অতিরিক্ত চিনি গ্রহণ থেকে আপনাদের বিরত থাকতে হবে। অতিরিক্ত চিনি গ্রহণের ফলে কিন্তু আমাদের এজেন্টরাই খুব দ্রুত আসতে শুরু করে। বিশেষ করে বয়সের ছাপ বলিরেখা এগুলো দেখা যায়।এ ধরনের খাবার গুলো যদি আপনারা আপনাদের ডায়েট অন্তর্ভুক্ত করেন এবং এ ধরনের খাবার যদি আপনার আপনাদের খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিতে পারেন, তাহলে আপনার একটি সুস্থ এবং সুন্দর পেতে সক্ষম হবে।

Previous Post Next Post