Headlines
Loading...
চোখের ছানি - লক্ষণ, কারণ ও চিকিৎসা

চোখের ছানি - লক্ষণ, কারণ ও চিকিৎসা

চক্ষু ছানি হল একটি অস্বাভাবিক শারীরিক অবস্থা যা চোখের সুস্থ কাঠামোগুলির ক্ষতি থেকে উত্পন্ন হয়। এটি একটি চোখের বা উভয় চোখের ক্ষতি থেকে উত্পন্ন হতে পারে। চক্ষু ছানির ফলে চোখের দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পায় এবং মানুষ সাধারণত সময়ের জন্য ঘোমটা হারায়।

চক্ষু ছানির কারণ বিভিন্ন হতে পারে, যেমন চোখের ক্ষতি, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, নিউরোলজিক সমস্যা, আঁশ প্রদাহ, জ্বালানি বা ছিদ্রের কারণে চোখের মধ্যে রক্তাক্ত হওয়া ইত্যাদি। চক্ষু ছানির লক্ষণগুলি বিভিন্ন হতে পারে, যেমন দৃষ্টিশক্তি হ্রাস, কোন বস্তু স্পষ্টভাবে দেখা না, দূরের বস্তুগুলির মধ্যে স্পষ্টতা হ্রাস, অস্বাভাবিক রঙের কোন হালকা ছড়া, ছড়ামধ্যে আলোর কিছু আঁশ ইত্যাদি।

চোখের ছানি - লক্ষণ, কারণ ও চিকিৎসা

চক্ষু ছানির চিকিৎসা বিভিন্ন হতে পারে যেমন চোখের ক্ষতির চিকিৎসা, ঔষধী চিকিৎসা, ক্ষয়শীলতা সংশোধন, চশ্মা, চোখের কাঠামোর সংস্থান পুনরুদ্ধার করা, চোখের ক্ষতির জন্য কিরূপ চিকিৎসা ইত্যাদি। চক্ষু ছানির চিকিৎসা সাধারণত চক্ষুবিজচক্ষু ছানি (Blindness) হল একটি অস্বাভাবিক অবস্থা যা ব্যক্তির দৃষ্টি শক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ফলে সৃষ্টি পায়। এটি অনেকগুলি কারণে ঘটতে পারে, যেমন চোখের ক্ষতি, অস্বাভাবিক রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, জ্বালানি, নিউরোলজিক সমস্যা, কিমিয়া, জন্যের কারণে চোখের শক্তি হ্রাস ইত্যাদি। চক্ষু ছানির লক্ষণগুলি প্রধানত দৃষ্টি শক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া, বস্তুগুলির স্পষ্টতা হ্রাস, অস্বাভাবিক রঙের ছড়া, আলোর কিছু আঁশ ইত্যাদি হতে পারে।

ছানির কারণ

ছানি চক্ষুতে পর্যাপ্ত পরিমাণে সুষি না থাকলে উত্পন্ন হয়। ছানির কারণ বিভিন্ন হতে পারে এবং এর পেছনে বিভিন্ন কারক থাকতে পারে। কিছু মূল কারণ নিম্নলিখিত হতে পারে:

  • উচ্চ চক্ষু চাপ (Intraocular Pressure): চক্ষুতে অতিরিক্ত চাপ থাকলে ছানি উত্পন্ন হতে পারে। এটি গ্লাকোমা (Glaucoma) নামক একটি চক্ষুর রোগের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে।
  • চক্ষুতে রক্তস্রাব (Bleeding in the Eye): চক্ষুতে কোনো কারণে রক্তস্রাব হলে ছানি উত্পন্ন হতে পারে। এটি হতে পারে চোখের ক্ষতি, চক্ষুতে সংক্রমণ বা চক্ষুর সুস্থতার সমস্যার ফলে।
  • চক্ষুতে সংক্রমণ (Infection in the Eye): চক্ষুতে সংক্রমণ হলে ছানি উত্পন্ন হতে পারে। এটি হতে পারে ব্যাকটেরিয়াল বা ভাইরাল সংক্রমণের ফলে।
  • চক্ষু প্রকাশের সমস্যা (Problems with Eye Development): কিছু সময় জন্মের সময় থেকে চক্ষু বা ছানির প্রকাশ সমস্যা হতে পারে। এটি জানা অসম্ভব হতে পারে বা পার্থক্যমূলক হতে পারে।
  • জাতিসংঘের মহাকাশে মহাকর্ষ অক্ষের ব্যবস্থাপনা (Microgravity Effects on Eye): কিছু মানব যাত্রী মহাকাশে যাত্রা করার সময় চক্ষুতে সমস্যা হতে পারে, যা ছানিরছানির কারণগুলো নিম্নলিখিত হতে পারে:
  • উচ্চ চক্ষু চাপ (Intraocular Pressure): যখন চক্ষুর ভেতরে চাপ বেড়ে যায়, তখন ছানি উত্পন্ন হতে পারে। এই অবস্থাটি গ্লাউকোমা নামক একটি চক্ষুরোগের লক্ষণ হতে পারে।
  • চক্ষুতে রক্তস্রাব (Bleeding in the Eye): চক্ষুতে রক্তস্রাব হলে ছানি উত্পন্ন হতে পারে। এটি চক্ষুর ক্ষতি, সংক্রমণ বা অন্যান্য সমস্যার ফলে ঘটতে পারে।
  • চক্ষুতে সংক্রমণ (Eye Infection): চক্ষুতে সংক্রমণ হলে ছানি উত্পন্ন হতে পারে। এটি হতে পারে ব্যাকটেরিয়াল বা ভাইরাল সংক্রমণের ফলে।
  • চক্ষুর উন্নতির সমস্যা (Eye Development Issues): কিছুকাল জন্মের সময় হতে চক্ষুর উন্নতির সমস্যা হতে পারে। এটি জন্মের সময় বা পার্থক্যমূলক হতে পারে।
  • মহাকর্ষ অক্ষের প্রভাব (Microgravity Effects): কিছু মানব মহাকাশে যাত্রাবিশেষে চক্ষুতে সমস্যা হতে পারে, যা ছানির উৎপাদনের কারণ হতে পারে।

এগুলো ছানির সাধারণ কারণগুলোর মধ্যে কিছু। তবে, এটি শুধুমাত্র প্রাথমিক তথ্য এবং নির্দিষ্ট মানব পরিবেশে ছানি উত্পন্নের অন্যান্য কারণগুলো সম্ভব।

ছানির রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা

ছানির রোগ পূর্ণতা নির্ণয় ও চিকিত্সা করার জন্য আপনাকে একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়া উচিত। চক্ষু বিশেষজ্ঞ আপনার ছানিকে নিরীক্ষণ করবেন এবং সঠিক রোগ নির্ণয় করে নিয়মিত চিকিৎসা প্রদান করবেন।

  1. ছানির রোগ নির্ণয়ের জন্য চক্ষু বিশেষজ্ঞ কিছু পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ করতে পারেন, যেমন:
  2. জ্যাক্ট ল্যাম্প ব্যবহার করে ছানির উপর আলোক দেখতে হবে। এটি ছানির অবস্থা, আকার, আকার এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্য পরীক্ষা করবে।
  3. ছানির মাধ্যমে চক্ষুপথে দেখতে হবে। এটি সম্ভবত স্লিট ল্যাম্প ব্যবহার করে করা হয়। এটি ছানির মাধ্যমে চক্ষুপথের পরিস্থিতি ও বিভিন্ন সমস্যা পরীক্ষা করবে।

আপনার চিকিত্সক আপনার ছানির মাধ্যমে চক্ষুর দায়িত্বশীলতা পরীক্ষা করতে পারেন। সেটি আপনার দৃষ্টির পরিস্থিতি, লেন্সের প্রয়োজনীয়তা ও অন্যান্য পার্থক্য নিরীক্ষা করবে।

মেডিকেশন সংক্রান্ত কিছু সাধারণ চিকিৎসা পদ্ধতি হতে পারে এমনভাবে:

  • মেডিকেশন: চক্ষু বিশেষজ্ঞ চাইলে কিছু ক্রিম বা ঔষধ পরামর্শ করতে পারেন, যা ছছানির রোগের চিকিত্সায় মূলত চারটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এগুলি হল:
  • মেডিকেশন: ছানির রোগের চিকিত্সায় বিভিন্ন ঔষধ ব্যবহার করা হয় যা মাংসপেশীর বা নকশার খারাপ কাজ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে এবং প্রশমন করে। চিকিত্সক আপনাকে উপযুক্ত ঔষধ প্রেসক্রাইব করবেন এবং সেই মতে আপনাকে ব্যবহারের নির্দেশ দিবেন।
  • কাউশল চিকিৎসা: ছানির চিকিত্সায় কাউশল চিকিৎসা ব্যবহার করা হতে পারে। এই পদ্ধতিতে শেখানো হয় বিশেষ ব্যায়াম, মাসাজ এবং অন্যান্য পুনর্বাসন তত্ত্বগুলি, যা মাংসপেশীর বা নকশার সুষম কার্যকলাপ সঠিক করতে সহায়তা করে। কাউশল চিকিৎসা সাধারণত ছানির চিকিত্সায় অত্যন্ত সার্থক হতে পারে না, কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে এটি প্রয়োজনীয় হতে পারে।
  • ফিজিক্যাল থেরাপি: এই পদ্ধতিতে বিভিন্ন ফিজিক্যাল থেরাপি প্রয়োগ করে ছানির রোগের চিকিত্সা করা হয়। এর মধ্যে যোগাযোগ থেকে বিভিন্ন উপাদানের ব্যবহার (যেমন গর্ত বা গর্ত জল, গর্তের সাথে তাপ বা ঠান্ডা উপস্থাপন এবং ইলেকট্রিক আদান-প্রদান)।
  • লেজার থেরাপি: লেজার থেরাপি ছানির রোগের চিকিত্সায় ব্যবহৃত হতে পারে। এটি একটি উচ্চ আলোর উপযুক্ত মাত্রার লেজার দ্বারা ছানির প্রভাবিত এলাকায় নির্দিষ্ট চিকিত্সা প্রদান করে। এটি ছানির বিভিন্ন সমস্যার জন্য ব্যবহৃত হতে পারে, যেমন ক্রোড সংক্রান্ত সমস্যা, স্ক্যারবি, অংশীদার অবস্থা ইত্যাদি। লেজার থেরাপি সাধারণত নিরাপদ এবং প্রভাবশালী হয়, কিন্তু এটি একাধিক সেশনের প্রয়োজন হতে পারে।
  • ক্রিওথেরাপি: ক্রিওথেরাপি একটি পদ্ধতি যেটি ঠান্ডা ব্যবহার করে ছানির রোগের চিকিত্সা করে। এটি ছানির প্রভাবিত অংশকে ঠান্ডা করে বা ক্রিয়াশীল করে যা সংক্রামক পথীয়ের প্রভাবকে কমাতে সাহায্য করে। ক্রিওথেরাপি সাধারণত সমস্যার বিনিময়ে আরাম ও স্বাস্থ্যকর হয় এবং সাধারণত প্রভাবশালী হয় কিন্তু এটি কয়েকটি সেশনের প্রয়োজন হতে পারে।
  • ইলেকট্রোথেরাপি: ইলেকট্রোথেরাপি ছানির চিকিত্সায় ব্যবহৃত হতে পারে। এটি মাইক্রোকারেন্ট ব্যবহার করে ছানির প্রইলেকট্রোথেরাপি ছানির চিকিত্সায় ব্যবহৃত হতে পারে। এটি মাইক্রোকারেন্ট ব্যবহার করে ছানির প্রভাবিত অংশে বিভিন্ন প্রবাহ পরিণতি সৃষ্টি করে। এটি সাধারণত নার্ভ সংক্রান্ত সমস্যার জন্য ব্যবহৃত হতে পারে, যেমন স্ট্রোক, প্যারালাইসিস, মাস্টিশিটিস ইত্যাদি। ইলেকট্রোথেরাপি ছানির প্রভাবিত অংশে স্বাস্থ্যকর পরিবর্তন উপস্থাপন করে এবং যথাযথ সামগ্রীগুলি প্রবাহিত করে ছানির চিকিত্সা করার জন্য উপযুক্ত হতে পারে।

এছাড়াও, আরও বিভিন্ন ফিজিক্যাল থেরাপি পদ্ধতি রয়েছে যেগুলি ছানির চিকিত্সায় ব্যবহৃত হতে পারে, যেমন হাইড্রোথেরাপি (জলের ব্যবহার), উল্লম্ব থেরাপি (গর্তের ব্যবহার), মেকানোথেরাপি (বিভিন্ন যন্ত্রের ব্যবহার), সুযোগ থেরাপি (গর্তের সাথে তাপ বা ঠান্ডা উপস্থাপন এবং ইলেকট্রিক আদান-প্রদান) ইত্যাদি। সম্ভবত আপনি এই পদ্ধতিগুলি অনুসন্ধান করতে পারেন এবং যেটি আপনার ছানির রোগের চিকিত্সা প্রয়োজনে সম্পর্কে আপনার চিকিত্সকের সাথে আলোচনা করতে পারেন।