বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে যাওয়ার পরিকল্পনা করলে সঠিক তথ্য জানা গুরুত্বপূর্ণ। ইতালি দক্ষিণ ইউরোপে অবস্থিত এবং সুন্দর ইতিহাস ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত। এখানে প্রায় 150,000 বাংলাদেশী বসবাস করে1।
আপনার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট এবং আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিশদ বিবৃতি দেওয়া হবে। আপনি আইনি পথে ইতালিতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে পারবেন। সুবিধাজনকভাবে ভিসা আবেদন করতে পারবেন এবং চাকরির সুযোগ খুঁজে পেতে পারবেন2।
ইতালির পরিচিতি
ইতালি দক্ষিণ ইউরোপের একটি দেশ। এটি তার �সমৃদ্ধ সংস্কৃতি এবং বিশাল ইতালির ইতিহাস দিয়ে পরিচিত। রোম হল দেশের রাজধানী, যা রোমান সাম্রাজ্যের কেন্দ্র ছিল।
ফ্লোরেন্স, ভেনিস, এবং মিলান ইতালির উল্লেখযোগ্য শহর।
ইতালি সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের একটি ভান্ডার। এখানে লোকেরা বিভিন্ন আচার এবং জীবনযাপনের ধারা অনুসরণ করে।
প্রতি বছর ইতালিতে বিশ্বব্যাপী লোকেরা কাজ করতে আসে। এটি বাংলাদেশের লোকদের জন্য কাজের সুযোগ বৃদ্ধি করে3।
ইতালির অর্থনীতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। নির্মাণ, কৃষি, এবং সেবার ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান বেশি3।
কাজ, পড়াশোনা, ব্যবসা বা ভ্রমণের জন্য ভিসা বেছে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ3।
ভিসা আবেদনের জন্য সঠিক ভিসা প্রকার বেছে নেওয়া প্রয়োজন। আবেদন সাইটে প্রবেশ করা, প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়া, ফি পরিশোধ করা এবং ডকুমেন্ট জমা দেওয়া প্রয়োজন3।
আন্তর্জাতিক যাত্রার জন্য ইতালির সাথে যোগাযোগ করা ভালো4।
বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার প্রধান উপায়
বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে যাওয়ার কয়েকটি উপায় আছে। কাজের সুযোগ নিয়ে যাওয়ার জন্য ওয়ার্ক ভিসা একটি ভালো পছন্দ। ইতালির সরকার বাংলাদেশ থেকে ৪৫২,০০০ শ্রমিক আমদানি করার পরিকল্পনা করেছে। ২০২৩ সালে ১,৩৬,০০০ শ্রমিক থাকবে5।
ভিসা আবেদনের সময়সীমা ডিসেম্বর ২, ৪, এবং ৮ তারিখে নির্ধারিত5।
শিক্ষার্থীদের জন্য স্টুডেন্ট ভিসা একটি জনপ্রিয় বিকল্প। ২০২২-২৩ সালে ইতালির বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ৬,০০০ টিরও বেশি ভিসা দেওয়া হয়েছে5।
উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন টিপ-D ভিসা ক্যাটাগরির অধীনে হয়। এটি ৯০ দিনের বেশি বৈধ6।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে পলিটেকনিকো দি মিলান, স্যাপিয়েঞ্জা ইউনিভার্সিটি অফ রোম, এবং ইউনিভার্সিটি অফ বলোগনা উল্লেখযোগ্য। এগুলোর QS বিশ্ব র্যাঙ্কিং যথাক্রমে ১২৩, ১৩৪ এবং ১৫৪6।
ব্যবসায়ীদের জন্য বিজনেস ভিসা ও পারিবারিক ভিসা আছে। প্রতিটি ভিসার জন্য আবেদনের জন্য নির্দিষ্ট কাগজপত্রের প্রয়োজন7।
বিমান টিকিটের বাজেট সাধারণত ৫০,০০০ থেকে ১,০০,০০০ টাকার মধ্যে থাকে। এটি ভ্রমণের সময় এবং এয়ারলাইন্সের ওপর নির্ভর করে7।
এই তথ্যগুলো আপনাকে সঠিক পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি করতে সাহায্য করবে। বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়ার জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ7।
কিভাবে ইতালি যাওয়া যাবে তার সঠিক প্রসেস ওয়ার্কিং ভিসা
ইতালিতে যাওয়ার জন্য ওয়ার্কিং ভিসা আবেদন করার প্রক্রিয়া বুঝতে হবে। ইতালি যাওয়ার প্রসেস শুরু হয় ভিসার ধরন নির্বাচন করে।
ইতালিতে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ভিসা আছে, যেমন স্পন্সর ভিসা, কাজের ভিসা এবং স্টুডেন্ট ভিসা। সঠিক ভিসা পেতে নিম্নলিখিত ইতালি ভিসা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিতে হবে:
- একটি বৈধ পাসপোর্ট (যার মেয়াদ অবশ্যই ৬ মাসের বেশি থাকতে হবে)
- অনলাইন আবেদন ফরমের প্রিন্ট কপি
- জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন সনদ
- মেডিকেল রিপোর্ট
- সাম্প্রতিক পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ
- শিক্ষাগত যোগ্যতা সনদ
- আবেদন ফি পরিশোধের প্রমাণ
- COVID-19 ভ্যাকসিনেশন সনদ
- দক্ষতা সনদ
- ব্যাংকের স্টেটমেন্টস
- ইংরেজি ভাষার যোগ্যতা সনদ
ইতালি ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি শক্তিশালী দেশ। ওয়ার্কিং ভিসা তথ্য অনুযায়ী, ইতালিতে কাজ পাওয়ার সুযোগ আছে। নির্মাণ, কৃষি ও সেবা খাতে কাজ করা সম্ভব। প্রতি বছর বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশের শ্রমিকদের ইতালি নিয়োগ করে3।
ইতালির ভিসা প্রক্রিয়া অন্য দেশের থেকে বেশি জটিল। সঠিক ইতালি যাওয়ার প্রসেস অনুসরণ করলে সমস্যা হতে পারে3। স্পন্সর ভিসা পাওয়া বর্তমানে কঠিন। কিন্তু এটি লাভজনক সুযোগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ8।
যদি আপনি ইতালির স্পন্সর ভিসা পান, তাহলে আপনি ৯০ দিনের বেশি সময় পর্যন্ত সেখানে থাকতে পারবেন8
কাগজপত্রের ধরন | প্রয়োজনীয়তা |
---|---|
পাসপোর্ট | মেয়াদ ৬ মাসের বেশি থাকতে হবে |
অনলাইন আবেদন ফরম | প্রিন্ট কপি প্রদান করুন |
মেডিকেল রিপোর্ট | সুনির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী |
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ | সঠিক বিনিয়োগের প্রমাণ |
COVID-19 ভ্যাকসিনেশন সনদ | সার্বজনীন অনুমোদনপ্রাপ্ত |
ইতালি ভিসার প্রকারভেদ
ইতালিতে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ভিসা আছে। এগুলো হল ওয়ার্ক ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা, এবং পারিবারিক ভিসা। আপনার উদ্দেশ্য ও প্রয়োজন অনুযায়ী এগুলো নির্বাচন করতে হবে।9
ওয়ার্ক ভিসা দেশের কাজের বাজারে প্রবেশের জন্য প্রধান। এটি ৯ মাস থেকে ৪ বছর পর্যন্ত বৈধ। এতে বিভিন্ন ধরনের ভিসা রয়েছে, যেমন Self-Employment Visa এবং Digital Nomad Visa। ভিসা আবেদনের সময় ১৫ থেকে ৬০ দিন লাগে।10
স্টুডেন্ট ভিসা আপনাকে ইতালির বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার অনুমতি দেয়। এখানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য একটি আবেদনপত্র পূরণ করতে হয়। কিছু নির্দিষ্ট ডকুমেন্ট জমা দিতে হয়।
পারিবারিক ভিসা ইতালির নাগরিকদের পরিবারের সদস্যদের জন্য প্রযোজ্য। এটি পারিবারিক সংযোগ বজায় রাখতে সাহায্য করে। এর জন্য যথার্থ জাতীয় পরিচয়পত্র ও নথি প্রয়োজন।11
স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে ইতালি যাওয়া
ইতালিতে পড়ার জন্য একটি আকর্ষণীয় দেশ। স্টুডেন্ট ভিসা দিয়ে এখানে যাওয়ার জন্য কিছু পদক্ষেপ আছে। ইতালির স্টুডেন্ট ভিসা দুই ধরনের: টাইপ সি (90 দিনের জন্য) এবং টাইপ ডি (90 দিনের বেশি)। এগুলো ডিগ্রি বা ডিপ্লোমা কোর্সের জন্য উপযুক্ত12।
ভিসা পেতে আবেদন করতে কিছু প্রক্রিয়া আছে। প্রথমে, আপনাকে ইতালির একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে হবে। আবেদন করতে, আপনাকে নিকটস্থ ইতালীয় দূতাবাস বা কনস্যুলেটে যেতে হবে12। আপনার কাছে নিম্নলিখিত ডকুমেন্টগুলো থাকতে হবে:
- পাসপোর্ট
- ভর্তির পত্র
- আর্থিক স্বচ্ছতার প্রমাণ
- স্বাস্থ্য বীমা
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
- পাসপোর্ট সাইজ ছবি
২০২৪ সালের জন্য ইতালি স্টুডেন্ট ভিসার খরচ প্রায় ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা। ভর্তি হওয়ার পর, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে স্কলারশিপের আবেদন করা উপযুক্ত13। আমাদের দেশে, বিশেষ করে University of Bologna ১০৮টি প্রথম এবং ১০৮টি দ্বিতীয় স্তরের কোর্স প্রদান করে13। এছাড়াও, University of Padua ১২২২ সালে প্রতিষ্ঠিত, বিভিন্ন ডিসিপ্লিনে কোর্স উপলব্ধ করে, যেমন কৃষি বিজ্ঞান, পশুচিকিৎসা, আইন এবং সামাজিক বিজ্ঞান13।
কিছু ব্যয় সহ প্রতিষ্ঠানের অবস্থান, জীবনযাত্রার মান, এবং নিতে চাওয়া কোর্সের উপর নির্ভর করে খরচ ভিন্ন হতে পারে। সাধারণভাবে, এই খরচের মধ্যে ভিসার আবেদন ফি (প্রায় ৫০ ইউরো), টিউশন ফি, জীবনযাত্রার ব্যয়, স্বাস্থ্য বীমা এবং অতিরিক্ত খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকে12। ইতালিতে পড়ার পরিকল্পনা করছেন? সঠিক তথ্য সংগ্রহ করে বাজেট পরিকল্পনা করুন এবং নির্দিষ্ট খরচগুলো সম্পর্কে অবহিত থাকুন।
কাজের ভিসার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া
ইতালিতে কাজের ভিসা পেতে আপনাকে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। প্রথমে, আপনাকে ইতালির কোন কোম্পানি থেকে চাকরির প্রস্তাব পাওয়া উচিত। এরপর, কিছু সরকারি নিয়ম অনুসরণ করে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করতে হবে।
বর্তমানে, 99.9% ভিসা এজেন্টের মাধ্যমে দেওয়া হয়, যা মৌসুমি কাজের অনুমতি হিসেবে পাওয়া যায়14। মৌসুমি কাজের ভিসা পেতে, আপনার খরচ আনুমানিক 3 থেকে 4 লাখ টাকা হতে পারে14 ও15। যারা কাজের ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণরূপে বুঝতে পারে না, তারা অনেক বেশি অর্থ খরচ করে ফেলেন।
আপনি যদি মৌসুমি কাজের ভিসা চান, তাহলে আপনার কাছে একটি বৈধ ডিজিটাল পাসপোর্ট থাকতে হবে। আপনার কাছে মেডিক্যাল রিপোর্ট, জন্ম সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনেশন সনদ এবং কোম্পানির পক্ষ থেকে একটি স্পনসরের চিঠি থাকতে হবে15। ইতালিতে কাজের জন্য মজুরি সাধারণত 5 থেকে 10 ইউরো, যা আপনার অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে14।
ভিসা আবেদনের জন্য আপনার কাছে বিভিন্ন ধরনের ভিসা রয়েছে। এগুলো হল ছাত্র ভিসা, কাজের অনুমতি ভিসা, কৃষি ভিসা, পর্যটন ভিসা এবং নির্মাণ ভিসা15। ইতালিতে কাজের জন্য আয় সাধারণত 60,000 থেকে 2-3 লাখ টাকা মধ্যে হয়ে থাকে15। ভিসা আবেদন ফর্ম 2023 সালে VFS Global ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন।
পারিবারিক ভিসা এবং এর প্রক্রিয়া
ইতালিতে আপনার পরিবারকে নিয়ে আসতে পারিবারিক ভিসা খুব গুরুত্বপূর্ণ। পারিবারিক ভিসা প্রক্রিয়াটি অনেক নিয়ম অনুসরণ করে। প্রথমে, আপনি পরিবারের সদস্যদের জন্য ভিসা আবেদন করতে পারেন।16
ইতালির পারিবারিক ভিসা প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে, আপনাকে কিছু নথি প্রস্তুত করতে হবে।
- অভিভাবকের পাসপোর্টের কপি
- পারিবারিক সম্পর্কের প্রমাণ (যেমন জন্ম সনদ)
- ইতালীয় সরকারের কাছ থেকে গ্রহণকৃত স্থানীয় নিবন্ধন
- আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ
- জরুরী স্বাস্থ্য বীমার প্রমাণ
আপনার আবেদন স্বীকৃত হলে, পরিবারের সদস্যরা ইতালিতে পৌঁছাতে পারবে।17 এই ভিসার মাধ্যমে আপনার পরিবারের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা হয়। আপনি যদি আইনি প্রক্রিয়া সঠিকভাবে অনুসরণ করেন এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টেশন প্রদান করেন, তবে আপনার আবেদন সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।16
ইতালির ভিসা আবেদন ফরমের প্রয়োজনীয়তা
ইতালি ভিসা ফরম পূরণ করার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে। প্রথমে, আপনার কাছে বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে। এটি যাত্রার তারিখ থেকে সর্বনিম্ন ছয় মাসের মেয়াদ থাকতে হবে।
আরো, সম্প্রতি তোলা দুটি পাসপোর্ট সাইজের ছবির সার্টিফিকেট দরকার। এছাড়াও, ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং শিক্ষাগত পরিচয়পত্র জমা দিতে হবে।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে, ভিসা আবেদন ফরম সরকারি ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা যায়। বিশেষ করে, গুগল ক্রোম ব্যবহার করে।
আপনার জন্য বাধ্যতামূলক তথ্য দেওয়া প্রয়োজন। যেমন, আওতাধীন কৃষি দক্ষতার সার্টিফিকেট, মেডিক্যাল এবং কোভিড-১৯ সার্টিফিকেট, রিকমেনডেশন লেটার, এবং ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার সার্টিফিকেট।
এই সব তথ্য আপনার ইতালি ভিসা ফরম পূরণের জন্য দরকারী। আবেদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার পর, আপনার ভিসা আবেদন ট্র্যাক করার সুবিধা থাকবে।18
ইতালি যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস
ইতালিতে যাওয়ার জন্য সঠিক ডকুমেন্টস খুঁজে বের করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি প্রবাসী এবং শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইতালিতে যাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত ডকুমেন্টস প্রয়োজন:
- যাত্রার উদ্দেশ্যের প্রমাণ: কাজ, পড়াশোনা বা পারিবারিক সংযুক্তি প্রমাণ করতে হবে।
- ভিসা ডকুমেন্টস: সঠিক ভিসা দিয়ে আবেদন করা অতি জরুরি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিকদের জন্য, একটি বৈধ পরিচয় নথি দিয়ে ইতালিতে প্রবেশ করা যায়19।
- ভ্রমণের নিশ্চিতকরণ: বিমান টিকেট এবং থাকার স্থান নিশ্চিতকরণের কাগজপত্র দরকার।
- স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ডকুমেন্টস: ভ্রমণের পূর্বে আপনার ভ্যাকসিন আপডেট করা নিশ্চিত করুন। সাধারণ ভ্যাকসিনেশনগুলোর মধ্যে MMR, ডিপথেরিয়া-টেটানাস-পারটুসিস, ভারিসেলা ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত।
রেসিডেন্সি এবং কাস্টমস প্রবিধান অনুযায়ী 430 ইউরোর বেশি মূল্যের পণ্য ঘোষণা করার পরামর্শ দেওয়া হয়19।
অতিরিক্তভাবে, ভিসার খরচ সম্পর্কিত কিছু তথ্য জানা গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ থেকে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য খরচ প্রায় 7000 - 10000 BDT এবং ওয়ার্ক ভিসার জন্য খরচ 12000 - 15000 BDT আটকের প্রয়োজন2।
এছাড়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দর্শকদের 90 দিন পর্যন্ত ভিসা-মুক্ত থাকার বিকল্প রয়েছে20। দেশটিতে প্রবেশের জন্য সকল প্রয়োজনীয় তথ্য এবং ডকুমেন্টস সঠিকভাবে প্রস্তুত করা হলে, আপনার ইতালি ভ্রমণ স্বার্থক হবে।
ইতালি ভিসা আবেদন কিভাবে করবেন
ইতালি ভিসা আবেদন করতে আপনাকে কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে। প্রথমে, আপনি কিভাবে ভিসা আবেদন করবেন সে সম্পর্কে ধারণা থাকা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি অফিসে গিয়ে বা অনলাইনে আবেদন করতে পারেন।
সরকার বলেছে, ২০২১ সালের ২১ ডিসেম্বর থেকে বিদেশি কর্মীদের ভিসা আবেদন করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে21। যদি আপনি কাজের ভিসায় আবেদন করতে চান, তাহলে আপনার প্রয়োজনীয় দক্ষতা এবং ইতালিয়ান ভাষার জ্ঞান থাকতে হবে।
আবেদন শুরু করার জন্য, প্রথমে আপনার ভিসা ধরন অনুযায়ী ডকুমেন্ট প্রস্তুত করুন। ভরপুর আবেদনপত্র, পাসপোর্ট, ছবি এবং অন্যান্য নথি প্রয়োজন। ভিসার ধরণ অনুযায়ী সময় সারণী তৈরি করুন।
মৌসুমি ভিসার জন্য আবেদন জমা দেওয়ার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ থেকে ১৭ মার্চ ২০২২ পর্যন্ত21।
ভিসা আবেদন জমা দেওয়া হয় অফিসে অথবা নির্দিষ্ট ভিসা কেন্দ্রে। আবেদন জমা দেওয়ার পর আপনাকে সাক্ষাৎকারের জন্য উপস্থিত থাকতে হবে।
আপনার আবেদন প্রক্রিয়া যদি সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়, তাহলে আপনি ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
ভিসা আবেদন করার সময় কিছু বিষয় মনে রাখতে হবে। অনেক বাংলাদেশি শ্রমিক দ্রুত চুক্তিতে প্রবেশ করে এবং ইতালির বেতন কাঠামো যাচাই না করে অর্থোপার্জন করার চেষ্টা করে। এটি তাদের আর্থিক ক্ষতির কারণ হতে পারে21।
সুতরাং, ইতালির কাজের পরিবেশ ও বেতন কাঠামো সম্পর্কে আপনার পরিচিত হওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
আপনার আবেদন প্রক্রিয়া যদি সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়, তাহলে আপনি ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
ইতালি ভিসা ফি সম্পর্কিত তথ্য
ভিসা ফি খরচ সম্পর্কে জানা গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনার বাজেট পরিকল্পনাকে প্রভাবিত করতে পারে। বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে ছাত্র ভিসার খরচ ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা হতে পারে22
কাজের জন্য ভিসার খরচ ৮ লাখ থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে22। কৃষি ভিসার জন্য খরচ ৭ থেকে ৯ লাখ টাকা হতে পারে22।
পর্যটক ভিসার খরচ ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা থেকে শুরু হতে পারে22। এটি সর্বাধিক ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে22।
পরিবার বা আত্মীয়দের জন্য স্পনসর ভিসার খরচ ৮ থেকে ১২ লাখ টাকা হতে পারে22। নির্মাণভিত্তিক ভিসার খরচ ১০ থেকে ১৪ লাখ টাকা হতে পারে22।
সরকারি পরিষেবার মাধ্যমে ভিসা প্রক্রিয়াকরণের খরচ ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা হতে পারে22।
বৈশ্বিক দিক থেকে ভিসা খরচ ভিন্ন হতে পারে। ব্যক্তিগত সংস্থার মাধ্যমে ভিসা প্রাপ্তির খরচ ৮ থেকে ১৪ লাখ টাকা হতে পারে22।
বিভিন্ন ভিসার জন্য আলাদা আলাদা ডকুমেন্টস প্রয়োজন22
ইতালি ভিসা প্রসেসিং সময়
ইতালি ভিসা প্রক্রিয়ার সময় বিভিন্ন কারণে পরিবর্তিত হতে পারে। কাজের ভিসার জন্য, সাধারণত ১ থেকে ৩ মাস লাগে1। কিছু ক্ষেত্রে এই সময় বেশি হতে পারে।
মৌসুমী ভিসার জন্য, সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী ২-৩ মাস লাগে15। শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে, নথিপত্র পূরণের পর ১ থেকে ২ মাস লাগে15।
ইতালি স্পন্সর ভিসার আবেদনের জন্য, ৯০ দিনের বেশি সময় লাগতে পারে8। এটি আবেদনকারীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
আবেদন ফি এবং অন্যান্য খরচ ভিসার প্রকার অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়8। এই খরচ প্রায় ৪ থেকে ৬ লক্ষ টাকা হতে পারে।
সুতরাং, আপনাকে সময় তালিকা অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়ে এগিয়ে আসা উচিত। এটি ভিসা প্রসেসিং সময়ের মধ্যে নিশ্চয়তা বজায় রাখতে সাহায্য করবে।